চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় বৃদ্ধ দম্পতিকে হত্যা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা বালু কেনার কথা বলে ওই দম্পতির বাড়িতে ঢুকে তাদের হত্যা করে। পরে টাকা ও
মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনার পাঁচ দিনের মধ্যে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন এসব তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আলমডাঙ্গার আসাননগর গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে শাহাবুল হক (২৪), পিন্টু রহমানের ছেলে রাজীব হোসেন (২৫), মাসুদ আলীর ছেলে বিদ্যুৎ আলী (২৩) ও তাজ উদ্দিনের ছেলে শাকিল হোসেন (২১)।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘আলমডাঙ্গায় চাঞ্চল্যকর বৃদ্ধ দম্পতি হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে চুরি যাওয়া মোবাইলফোন, নগদ টাকা ও রক্তমাখা পোশাক। ’
আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, শাহাবুল নিহত নজির উদ্দিনের ট্রলি চালক ছিলেন। ডাকাতির উদ্দেশে ঘটনার দিন রাত পৌনে ৯টার দিকে শাহাবুলসহ গ্রেপ্তার চার আসামি বালি কেনার কথা বলে নজির উদ্দিনের বাড়িতে প্রবেশ করে। প্রথমে গৃহকর্তা নজির উদ্দিনকে এবং পরে তার স্ত্রী ফরিদা খাতুনকে শ্বাসরোধ ও ছুরি মেরে হত্যা করেন তারা।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নিহত নজির উদ্দিনের চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে আসামি শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্য আসামিদের আটক ও মামলার আলামত জব্দ করা হয়েছে। ’
গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে আলমডাঙ্গা পুরাতন বাজারপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী নজিরউদ্দিন ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুনকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই রাতে বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী দুজনই ছিলেন। সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। ২৫ সেপ্টেম্বর নিহতদের মেয়ে ডালিয়ারা পারভীন শিলা অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের নামে থানায় হত্যা মামলা করেন।